গেম নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কিশোরের
বগুড়ার শিবগঞ্জে ফ্রি ফায়ার গেমসের আইডি নিয়ে দ্বন্দ্বে এক বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা করেছে আরেক বন্ধু। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এ ঘটনায় জড়িত বন্ধুকে ঢাকার মনিপুরীপাড়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারাল চাপাতি ও জ্যাকেট উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
হত্যার শিকার কিশোর সিফাত বগুড়া শহরের নূরানীমোড় এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর অপ্রাপ্ত বয়সের হওয়ায় তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। সে বগুড়া শহরের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, মোবাইল গেম ফ্রি ফায়ারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছে। ওই গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড না দেয়ার কারণে সিফাতকে নৃশংসভাবে খুন করে তারই কিশোর বন্ধু।
এসপি জানান, সিফাতের কাছ থেকে কৌশলে তার কিশোর বন্ধু ফ্রি ফায়ার গেমের আইডি ও পাসওয়ার্ড নেয়। সিফাত ওই গেম তার কিশোর বন্ধুর কাছে বারবার ফেরত চাইলে সে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় সিফাত ওই গেম আইডি ফেরত নেয়।
২৫ ডিসেম্বর সিফাত তার বোনের মুঠোফোন ঠিক করতে বাইরে আসে। এ সময় হত্যাকারী ওই কিশোর বন্ধু তাকে নিজ দাদার বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই স্থানে এক বাঁশ বাগানে সিফাতকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে গলায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ওই কিশোর বন্ধু। সিফাত এ সময় মাটিতে পড়ে গেলে তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও বাম হাতের রগ কেটে হত্যা করে।
হত্যার পরদিন পুলিশ লোকমুখে খবর পেয়ে শিবগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিতপুর থেকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। হত্যাকাণ্ড শেষে ওই বন্ধু ঢাকায় পালিয়ে মনিপুরী পাড়ায় আশ্রয় নেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি সিফাতের বন্ধু অপ্রাপ্ত বয়স্ক। এ ঘটনায় আরও তদন্ত চলছে।