গোপালগঞ্জের এসিল্যান্ডের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিলেন হাইকোর্ট
গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এসিল্যান্ড) মো. মামুন খানকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা থেকে ছয় মাস বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা গ্রামের বাসিন্দা লিটন মণ্ডলকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শরিফ আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফ আহমদ বলেন, ‘গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিজরা গ্রামের অধিবাসী লিটন মণ্ডল তার ড্রেজিং মেশিন দিয়ে স্থানীয়দের জমি ভরাটের কাজ করে আসছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মো. মামুন খান তার ড্রেজিং মেশিন জব্দ করে নিয়ে আসেন। পরে লিটন মণ্ডল এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে গেলে মো. মামুন খান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানার সাজা দেন।’
শরীফ আহমেদ বলেন, ‘ড্রেজিং মেশিনের সঙ্গে জব্দ করে আনা পাইপগুলো ভেঙে ফেলেন এসিল্যান্ড। পরে এসব এসিল্যান্ড অফিসের ফেসবুক পেজেও পোস্ট করেন তিনি। এরপর অক্টোবর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অফিসে ডেকে জরিমানা করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও মামুন খানের মোবাইল পরিচালনার ক্ষমতা স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়।’