গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের ৪ শাখায় পাল্টাপাল্টি কমিটি
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের চারটি শাখায় নতুন কমিটি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেছেন পদ বঞ্চিতরা। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারা পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
জানা গেছে, আজ বুধবার দুপুরে পদ বঞ্চিতরা সদর উপজেলা, পৌর, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ও সরকারি নজরুল কলেজ শাখার পাল্টা কমিটি ঘোষণা করেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়—রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি, মো. আরিফুল ইসলাম তারেককে আহ্বায়ক করে সদর পৌর ছাত্রলীগের কমিটি, দিদারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি এবং অজয় বিশ্বাসকে সভাপতি ও মো. লিমন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে সাতপাড় সরকারি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। পরে নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এতে দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। পরে পাল্টা নতুন কমিটির ঘোষণা আসে।
আজ বুধবার জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এস এম রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা ও মো. রাজু খান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবির হোসেন আকাশ স্বাক্ষতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির ঘোষণা করা হয়। এতে রকিবুল ইসলাম রানাকে আহ্বায়ক করে সদর উপজেলা শাখা, নাঈম হোসেন লিমনকে আহ্বায়ক করে পৌর ছাত্রলীগ, মো. হেলাল মোল্যাকে আহ্বায়ক করে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ এবং অমিত মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে সাতপাড় সরকারি নজরুল কলেজের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তিন মাস দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করা হয়।
কমিটি গঠন নিয়ে গোপালগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা বলেন, ‘জেলা সভাপতির একক সিদ্ধান্ত ও স্বাক্ষরে কমিটি গঠন করা যায় না। এটা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে নেই। গতকাল যে কমিটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ঘোষণা করেছেন, তাতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্যা বলেন, ‘তিনি যে কমিটি দিয়েছেন সেটিই ঠিক। অন্যরা যে কমিটি দিয়েছে সেটি বৈধ না।’ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতারা দেখবেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন।