গোপালগঞ্জে নিলামকৃত ৯৪ লাখ টাকার পণ্য হস্তান্তর
গোপালগঞ্জে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জব্দকৃত মালামাল প্রকাশ্যে নিলামে ৯৪ লাখ ২৩ লাখ ৫০০ টাকায় বিক্রির পর হস্তান্তর করা হয়েছে। নিলাম ক্রেতারা আজ মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ওইসব মালামাল গুদাম থেকে খালাস করে নিয়েছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া নিলাম কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাদের পুলিশ লাইনস গোডাউন থেকে এসব মালামাল বুঝিয়ে দেন।
এসময় অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফিরোজ মামুন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অনুশ্রী রায়, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুল কবির চন্দন, পুলিশ সদস্যসহ নিলাম কমিটির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, বিগত ২০০৯ সালের ১ মার্চ গোপালগঞ্জের ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলীতে মধুমতি নদীর একটি কার্গো জাহাজে অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় অবৈধ ১৬ হাজার ৯৩৭ পিস শাড়ি, ১ হাজার ১০৮ পিস থানকাপড়, ৬ হাজার ৮৭৩ পিস থ্রিপিস ও ২৪৭টি টু-পিস ওই কার্গো জাহাজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ওইসব মালামাল জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, দীর্ঘ শুনানির পর মামলাটি গত বছরের শেষ দিকে নিষ্পত্তি করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি জব্দকৃত ভারতীয় পণ্যসামগ্রী প্রকাশ্যে নিলামের মাধ্যমে ৯৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা ফেনী জেলার ব্যবসায়ী আমির হোসেন বাহার ও গোপালগঞ্জের ব্যবসাযী সরদার লেবু, ইকবালকে এসব মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
নিলামে ওই পণ্য ক্রেতা আমির হোসেন বাহার, সরদার লেবু ও ইকবাল বলেন, আজ মঙ্গলবার এসব মালামাল আমরা গুদাম থেকে খালাস করে নিয়েছি।