গোপালগঞ্জে ‘রোগীর স্বজনদের পিটুনিতে’ দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত
গোপালগঞ্জে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুজন হলেন—গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাহমিদ তানজিম আবির ও ইন্টার্ন চিকিৎসক আলমগীর হোসাইন। তাঁদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত তাহমিদ তানজিম আবির জানিয়েছেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) গোপালগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. হুমায়ূন কবির অভিযোগ করে জানান, গত ৭ জুলাই ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সদর উপজেলার বাজুনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম বুলবুল (২১) ও হৃদয় শেখ (১৮) নামের দুই যুবক আহত হন। ওই দিন তাঁদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে বুলবুলকে তাঁর এক কিশোর ভাগনে দেখাশোনা করছিল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসককে ডাকতে যায় বুলবুলের ভাগনে। এ সময় চিকিৎসক ওয়াশরুমে যাওয়ায় ডাকে সাড়া দিতে দেরি হয়। এ নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে বুলবুলের ভাগনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে রাত ৮টার দিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক তাহমিদ তানজিম আবির ও আলমগীর হোসাইন নাশতা করার জন্য হাসপাতাল থেকে বের হন। এ সময় হাসপাতাল ক্যাম্পাসে লাঠিসোটা নিয়ে পাঁচ থেকে সাত জন লোক তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুজনই মারাত্মক আহত হন।
ডা. হুমায়ূন কবির এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আরও বলেন, রাতের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।
অভিযুক্ত কিশোরের দাবি, ‘চিকিৎসকদের কক্ষের পাশে বসে আমি মোবাইলে গেম খেলছিলাম। চিকিৎসকদের ওয়েটিং রুমের আপত্তিকর দৃশ্য আমি মোবাইলে ধারণ করেছি, এ সন্দেহে চিকিৎসকেরা আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে সব কিছু মুছে ফেলেন। এরপর তাঁরা আমাকে চড়-থাপ্পড় দেন।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে আমরা অভিযান শুরু করেছি। এ ছাড়া গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশও মাঠে নেমেছে। দোষীদের গ্রেপ্তারে আমি নিজেও অভিযানে অংশ নিচ্ছি।’