গোপালগঞ্জে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ফিরে পেতে বাবার সংবাদ সম্মেলন
গোপালগঞ্জে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ফিরে পেতে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অপহরণের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা দীপক রায়। আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দীপক রায় বলেন, অন্যান্য দিনের মতো গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আমার মেয়ে বৈশাখী রায় সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় সে কাশিয়ানী উপজেলার পোনা সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের উত্তর পাশে পৌঁছালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেখানে অবস্থা নেয়। পরে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি কাশিয়ানী থানায় অপহরণ মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং উল্টো আমাকে একটি পেন্ডিং মামলায় আসামি করে চালান দেওয়ার হুমকি দেয়। এতে আমি আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরবর্তীতে আমি জঙ্গল মুকুন্দপুর গ্রামের রহমান মল্লিক ও তার সঙ্গীয় আহাদুল মল্লিক, আহাদুল মল্লিকের স্ত্রী সুমি বেগম, পোনা গ্রামের আলম মোল্যা, জাট্টিগ্রামের বিল্লার মোল্যা এবং বিল্লাল মোল্যার স্ত্রী ময়না বেগমকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। ১ মাস ৬ দিন অতিবাহিত হলেও আমি আমার মেয়ের কোনো খোঁজ পাইনি। মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে না পাওয়ায় আমার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমি আমার মেয়েকে সুস্থভাবে যাতে ফেরত পেতে পারি সেজন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে কাশিয়ানী থানার পরিদর্শক (ওসি, প্রশাসন) মো. ফিরোজ আলম এনটিভি অনলাইনকে জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। মেয়েটির বাবা থানায় এসেছিলেন। তখন আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনো সন্ধান পাইনি। তবে অতিরিক্ত আসামি দেওয়ার জন্য বাদীপক্ষ আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইয়ের তদন্তাধীন রয়েছে।