গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
গোপালগঞ্জে মেয়েকে অপহরণে বাধা দেওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে অজিত বাগচী নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মো. আবাস উদ্দীন এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ মামলার অপর আসামির অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাশুর গ্রামের অরবিন্দ বিশ্বাসের স্ত্রী ক্ষমা বিশ্বাস (৪০) দুর্গাপুজার নবমীর রাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে তপু বিশ্বাসকে অপহরণের চেষ্টা করে অজিত বাগচী ও তার সহযোগীরা। এতে তপুর মা ক্ষমা বিশ্বাস বাধা দিলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ছেলে অপু বিশ্বাসকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ ঘটনার পরের দিন নিহত ক্ষমা বিশ্বাসের স্বামী অরবিন্দ বিশ্বাস বাদী হয়ে বখাটে অজিত বাগচীসহ ছয়জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম অজিত বাগচী ও মৃদুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে ক্ষমা বিশ্বাসকে খুনের অপরাধে অজিত বাগচীকে (৩৮) মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিজ্ঞ বিচারক মো. আবাস উদ্দীন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি মৃদুল বিশ্বাসকে বেকসুর খালাস দেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর অজিত বাগচী পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. শহিদুজ্জামান খান পিটু এবং আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান।