গোপালগঞ্জ ও নড়াইলে শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এর দায়িত্বপূর্ণ শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া এবং নড়াইল জেলার মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনী রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে সুখ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছে।’
সেনাপ্রধান সৈনিকদের মনোবল উন্নত রেখে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, চিফ কনসালটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ এবং জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান নড়াইল জেলার মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে ৩ হাজার অসহায় ও দুঃস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান প্রশিক্ষণকালীন সময়ে সেনাবাহিনী তার জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায় বলে মত প্রকাশ করেন। প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণের এই মানবিক কার্যক্রম সর্বস্তরের মানুষের মাঝে অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ফ্রি-মেডিকেল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, গর্ভবতী-প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা এবং বিশেষ পরামর্শ প্রদান ও অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ দ্বারা চোখের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং বিনামূল্যে ওষুধপত্র বিতরণ করা হয়।
সেনাপ্রধানের পরিদর্শনকালীন সময়ে সেনাসদর ও স্থানীয় ফরমেশনসমূহের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।