গোলাপের যুক্তরাষ্ট্রে ৯ বাড়ি, অভিযোগ যাচাই-বাছাই হবে : দুদক
মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এমন তথ্য দেন।
দুদক সচিব বলেন, ‘যে কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারেন। অভিযোগ করার পর দুদকের যে যাচাই-বাছাই কমিটি রয়েছে, তারা সব বিধিবিধান মেনে যাচাই-বাছাই করে দেখবে।’
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোলাপের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি অভিযোগ করেন, আবদুস সোবহান গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, অন্য কোনো দেশে একাধিক বাড়ি কিনেছেন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনি হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন। এ জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
অভিযোগে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, “মাদারীপুরের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, যার বিষয়ে আমি একটা ভিডিও করেছি। ‘অরগানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের একটি প্রজেক্ট। যেখানে বলা হয়েছে, আবদুস সোবহান গোলাপ ২০১৪-১৫ সালে যখন এমপি ছিলেন তখন তিনি কী পরিমাণ দেশসেবা করেছেন যে, সেবা করতে করতে নিউইয়র্কে ৯টা প্রপার্টিজ করেছেন। যেগুলো তাঁর নিজের নামে আছে এবং এখন পর্যন্ত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেননি।”
সুমন আরও বলেন, ‘তিনি শপথ নেওয়ার সাত মাস পর ওনার আমেরিকান সিটিজেনশিপ ত্যাগ করেছেন। অথচ আমাদের কনস্টিটিউশনে (সংবিধানে) আছে, আপনার যদি বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে, তাহলে কোনোভাবেই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট বলেছে, বিষয়টি দুদক দেখবে। আমি এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম দুদক এ রকম একটি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার বিষয়ে কোনো সরাসরি সুয়োমুটো গ্রহণ করে কি না। যেহেতু এখন পর্যন্ত দুদক গ্রহণ করেনি, তাই আমি নিজে আজ দুদক বরাবর অভিযোগ করে গেলাম (এটা আইনে আছে, যেকোনো ব্যক্তি দুদকে অভিযোগ করতে পারবেন)। দুদক যদি এ বিষয়ে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, তা দেখে আমি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’