গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা : আসামিপক্ষের অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় আসামিপক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে এ অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফারহানা হোসেন বলেন, আজ আসামি জুলফিকার আলী, এ এম সানোয়ার হোসেন ও এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। আগামী ৩১ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেছেন, আজ রোববার খালেদা জিয়া আদালতে যাননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। এর আগে গত ১৭ জুলাই দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন।
২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল এ মামলায় খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন পান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
মামলার ২৪ আসামির মধ্যে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী মারা গেছেন। ফলে তাঁদের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন আসামির সংখ্যা ২০ জন। গত ১৭ অক্টোবর সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। মৃত্যুর প্রতিবেদন এলে আইন অনুযায়ী তাঁকেও এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি সইয়ের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন দুই কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।