ঘুষ গ্রহণ : ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ গ্রহণের মামলায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে ঘুষদাতা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আনোয়ার হোসেন আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে খাদ্য অধিদপ্তরের সহকারী উপ-খাদ্য পরিদর্শকের পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আবেদন করেন। লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তিনি কৃতকার্য হন। চাকরি পাওয়ার আশায় জাহাঙ্গীর আলম রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পিএ-টু পরিচালক ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওমর আলী জাহাঙ্গীর আলমের মামাতো ভাই। ওমর আলী এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন আনোয়ার হোসেন বখতিয়ার জানান, সাত লাখ টাকা দিলে চাকরি হয়ে যাবে। কথা মোতাবেক জাহাঙ্গীর আলম ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন বখতিয়ারকে সাত লাখ টাকা দেন। পরবর্তীতে চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম আনোয়ার হোসেনকে টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেন। দীর্ঘ দিন ঘোরানোর পর ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখা রাজশাহীতে ওমর আলীর মাধ্যমে এক লাখ টাকা ফেরত দেন। বাকি ছয় লাখ টাকা আনোয়ার হোসেন ২০১৫ সালের ২০ ডিসেম্বর নগদ পরিশোধ করার বিষয়টি উল্লেখিত আসামিরা স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন দুইজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট মতিঝিল থানায় মামলা করেন। একই ব্যক্তি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আদালকর অভিযোগপত্র দাখিল করেন।