ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোখা’ কেন, কে দিল এই নাম?
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে এবং এর প্রভাবে ভারতের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
ঘূর্ণিঝড় মোখার মতো প্রতিটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের একটি নাম দেওয়া হয়, যা এটিকে শনাক্ত করতে সহায়তা করে। এছাড়া সতর্কতা জারি করা এবং ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির বিষয়টি সহজ করে তোলে।
ইয়েমেন ঘূর্ণিঝড়ের ‘মোখা’ নামটি প্রস্তাব করেছে। লোহিত সাগরের পাড়ে ইয়েমেনের বন্দর মোখার নাম অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে। বন্দর শহরটি কফি বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত। শহরটিতে জনপ্রিয় পানীয়ের নামও ‘কফি মোখা’।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে ছয়টি আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমআইসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র (টিসিডব্লিউসি)। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের পেছনে বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে। এটি ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করতে এবং এর অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের, গণমাধ্যম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ও সাধারণ মানুষকে সহায়তা করে।
২০০০ সালে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) ও এসক্যাপের প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের (পিটিসি) ২৭তম অধিবেশনে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্যানেলে ভারত, বাংলাদেশ, ইরান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ইয়েমেন, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ওমান ও কাতারসহ ১৩টি সদস্য দেশ রয়েছে।
২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে সদস্য দেশগুলোর প্রস্তাবিত বিভিন্ন নাম অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ শুরু হয়। ২০০২ সালে ডব্লিউএমও ও এসক্যাপের প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের (পিটিসি) চূড়ান্ত ও গৃহীত ঘূর্ণিঝড়ের নামের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় ১৬৯টি নাম রয়েছে, যেখানে প্যানেলের ১৩টি সদস্য দেশ ১৩টি করে নাম প্রস্তাব করেছে। ইয়েমেনের প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘মোখা’।