ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোলায় বৃষ্টি, আতঙ্কে মানুষ
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ভোলায় রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা ও ঝোড়ো বাতাস। এছাড়া মেঘনার পানি ফুঁসে উঠেছে। পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ রোববার (১৪ মে) সকাল থেকেই ভোলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মেঘনা নদী প্রচণ্ড উত্তাল। মাছ ধরার ট্রলারগুলো সব তীরে চলে এসেছে।
চরফ্যাশনের চর নিজামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রাত থেকে প্রচণ্ড বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মেঘনা উত্তাল হয়ে উঠায় তাদের এলাকার মাছ ধরার সব নৌকা কিনারে চলে এসেছে। তবে স্বাভাবিক জোয়ারের সময় পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে।’
ঢারচরের বাসিন্দা মো. মনির জানান, ভালো আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় তারা চরফ্যাশন চলে এসেছেন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
চরফ্যাশনের বেতুয়া এলাকার নদীপারের বাসিন্দা মো. আতাউর বলেন, “কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। সকাল থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। থেমে থেমে বাতাস হচ্ছে। নদীর ঢেউ আছড়ে পড়ছে। নদীর পানি ফুঁসে উঠছে। অথচ এখন ভাটা চলে, তাতে যে অবস্থা জোয়ারের সময় কী যে হবে, আল্লাহ ভালো জানেন।”
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ইলাহী চৌধুরী বলেন, “আমরা ৭৪৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রেখেছি। স্বেচ্ছাসেবী রয়েছে অন্তত ১৫ হাজারের বেশি। কোস্টগার্ড ও পুলিশ সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য। আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য শুকনা খাবার রয়েছে।”