ঘূর্ণিঝড় মোখা : ঝালকাঠিতে আশ্রয়কেন্দ্রে হাজারো মানুষ
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। গুমোট আবহাওয়া দেশে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর তীরের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে জেলায় নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বেড়েছে।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। নদীর তীরের মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে জড়ো হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, আজ রোববার (১৪ মে) সকাল পর্যন্ত জেলার ৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ঝালকাঠিতে বেড়িবাঁধ না থকায় বিষখালী নদীতীরের কাঁঠালিয়া সদর, বড় কাঁঠালিয়া, আমুয়া, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া ও রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়াসহ বিষখালী নদী তীরবর্তী কয়েক হাজার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলার ৬১টি সাইক্লোন শেল্টার ও পাঁচ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা ও সকল উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনা ও ভারী খাবার দেওয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম এবং পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ঝালকাঠি রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘জেলায় পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই, তবে পর্যাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছি। এতে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।’