চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল ২৬ বসতবাড়ি, নেভাতে গিয়ে আহত ১৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা জলদাসপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ বসতবাড়ি পুড়ে গেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এই ভয়াবাহ অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। আগুন নেভাতে আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ঝুন্টু জলদাস, গোবিন্দ জলদাস, সত্যরঞ্জন জলদাস, চিত্তরঞ্জন জলদাস, চান্দু জলদাস, যুদ্ধ জলদাস, রাখাল জলদাস, হরিদাশ জলদাস, জ্যোতি বালা জলদাস, নিত্যলাল জলদাস, অনিল জলদাস, সুনীল জলদাস, পরিমল জলদাস, সুজন জলদাস, রঞ্জন জলদাস, রতন জলদাস, সুমি জলদাস, সন্তোষ জলদাস, নিখিল জলদাস, চাইন্দ্যা জলদাস, হরিলাল জলদাস, দধিরাম জলদাস, রতন জলদাস, বাবুল জলদাস, কাজল জলদাস ও সজল জলদাস।
গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার বাদশাহ বলেন, পূর্ব বড়ঘোনার জেলে পাড়ায় জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে গেছেন। তেমন কোনো পুরুষ ছিল না বাড়িতে। সন্তোষ দাশ নামের এক জেলে পরিবারের নগদ এক লাখ ৯৫ হাজার টাকাসহ বেশির ভাগ পরিবারের নগদ টাকা ও বসতবাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এলাকাবাসী এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সময় ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা লিটন বৈষ্ণব বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা চাম্বল বাংলাবাজার ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছালেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি।’
বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার খবর পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের খাবার ও ঘরের ছাউনির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’