চট্টগ্রামে যানবাহন না পেয়ে কারখানামুখী শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কারখানামুখী শ্রমিকরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে। আজ বুধবার সকাল থেকে নগরীর টাইগারপাস, আগ্রাবাদ চৌমুহনী ও নিমতলা এলাকায় শতাধিক পোশাক শ্রমিক বিক্ষোভ চলাকালে শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
কারখানার শ্রমিকরা জানায়, গণপরিবহন বন্ধ হয়ে পড়ায় তারা প্রতিদিন হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। এছাড়া রিকশার ভাড়া দ্বিগুণের বেশি। আজ সকালে নগরজুড়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় নগরীর অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা হয় এবং গাড়ি সংকটে চরম ভোগান্তি হয়।
পোশাকশ্রমিক আনোয়ারা বেগম জানান, ইপিজেড এলাকায় তাদের কারখানা। গাড়ি না থাকায় সোমবার থেকে তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেশি। আসা এবং কারখানায় যাওয়ার সময় দুর্ভোগ হয় বেশি।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দীন জানান, সকালে কারখানা শ্রমিকরা সড়কে ব্যরিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা তাদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরে সড়ক যোগাযোগ সচল হয়। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। নগরজুড়ে রিকশা ও ছোট যানগুলো চলছে। জরুরি সেবা ছাড়া নগরীর সব বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহানগরীতে চারজন এবং উপজেলাতে মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৩৯৯ জন। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক হাজার ৩৬৪ জনের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন চারজন।
পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে শনাক্তের হারও আগের চেয়ে বেড়েছে। ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, রাউজান ও মীরসরাই প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৫৮ হাজার ৭২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৭০১ জন।