চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ আল মামুন তালুকদার নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৭ এবং চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মামুনুর রহমান চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে আরও জড়িত রয়েছেন- বাঁশখালী উপজেলার রায়ছাটা এলাকার আরিফুর রহমান শাকিল (২৮), বাঁশখালীর দীঘিরপাড় এলাকার সিফাত (৩০), মো. ইমন (২৯)।
অভিযোগপত্র যাচাই করে জানা যায়, মো. আল মামুন তালুকদার নামের এক ব্যক্তি বাঁশখালী থেকে মুরগির খাদ্যের বকেয়া টাকার জন্য গত ৯ সেপ্টেম্বর নগরীর বহদ্দারহাটে আসেন। পাওনা টাকার জন্য গেলে ব্যবসায়ী জসিম ডেকে নিয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানার এ কে কনভেশন হলের সামনে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০ থেকে ১২ জন লোক অস্ত্র ধরে আরকান হাউজিং সোসাইটির ১২ তলা একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায়। ছাদে নেওয়ার পর বিভিন্নভাবে মারধর করে এবং রক্ষিত এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ সময় জোরপূর্বক কয়েকটি চেক এবং স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আল মামুন তালুকদারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আল মামুন তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ঘটনার পর থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়ে আসি। পরে আমাকে ফোন দিয়ে বলে থানায় এলে আবার হামলা করা হবে। পরে ভয়ে আর যাইনি। আমাকে মারধর ও টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি বিস্তারিত অভিযোগপত্রে দিয়েছি।’
আল মামুন আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছি। আদালত নগরীর পাঁচলাইশ থানাকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।’
এ বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সে প্রথম দিন এসে সবকিছু জানিয়ে গিয়েছিল। যদিও আমি ছিলাম না। পরের দিন তাঁকে আবারও আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে আসেনি।
অভিযোগের বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রহমান চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ঢাকায় ছিলাম। প্রতিহিংসাবসত আমাকে জড়ানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বিষয়টা শুনেছি। এ ঘটনায় যদি তিনি অভিযুক্ত প্রমাণিত হয় তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’