চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দূরে মোখা
প্রবল ঘূর্ণঝড় মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এ ছাড়া, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে হাজার কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে আছে ঝড়টি। এসব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আজ শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে বিশেষ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন।
বিশেষ ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। উপকূলে আঘাত হানার ৪-৬ ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।’
আজিজুর রহমান বলেন, ‘মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এ ছাড়া দুপুরে পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল মোখা। এটি আরও উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।’
আজিজুর রহমান আরও বলেন, ‘অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।’