চবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে ছাত্রলীগের অবরোধ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ করে রাখা হয়েছে মূল ফটক। বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেনের চলাচলাও। যদিও মূল ফটকে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে দাবি বিক্ষুব্ধদের। আন্দোলনকারীরা বলছেন—চবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পুনর্গঠনের দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে বলে এই আন্দোলন।
আজ মঙ্গলবার সকালে অবরোধ চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। যদিও চলতে দেখা গেছে কিছু রিকশা ও মোটরসাইকেলসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশা। তবে, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকারী বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি।
অবরোধের কারণে গতকাল সোমবার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ছিল। আজও তা বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চবির ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক চৌধুরী আমির মোহাম্মদ মুছা।
এদিকে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শাটল ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার রতন কুমার চৌধুরী।
এর আগে গতকাল ষোলশহর সহকারী স্টেশন মাস্টার অভিষেক সেন জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে প্রথম শাটল ট্রেনটি ছাড়ার পর পরের স্টেশনে সেটি বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা আটকে দেন। এরপর থেকে শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
চবি শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত দেলোয়ার হোসেন জানান, কমিটি পুনর্গঠন করে তাঁদের মূল্যায়ন না করা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।
গত রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর চবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে। এতে ৩৭৬ সদস্য আছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এই কমিটির অনুমোদন দেন। এরপর থেকে আন্দোলন শুরু করেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের প্রায় ৩০টি কক্ষ ভাঙচুর করেন। অপহরণ করেন ক্যাম্পাসগামী শাটল ট্রেনের চালককে।