চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দলে নেওয়া যাবে না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ যত দিন ক্ষমতায় থাকবে তত দিন বাংলাদেশ পথ হারাবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজগঠনে বদ্ধপরিকর। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং গুরুত্ব দিয়ে সৎ, নিষ্ঠাবান, সমাজে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দলে ঠাঁই দিতে হবে। যারা টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী তাদের কোনোভাবেই দলে স্থান দেওয়া যাবে না। তাই আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল আওয়ামী লীগ গঠন করতে চাই। তাই আওয়ামী লীগে থেকে যারা ক্ষতি করতে চায়, তাদের এখনই দল থেকে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাই।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার শেরেবাংলা সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সারা দেশে সুষম উন্নয়ন সাধন করে চলেছে। শত বাধা ও প্রতিকূলতা আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের এই অভাবনীয় পরিবর্তন ও উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব আর দূরদর্শিতার কারণেই।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবী যখন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাংলাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। করোনা মোকাবিলায় আমরা সফল। আবার অতি দ্রুত ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে করোনা প্রতিরোধে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মালেক, রানীনগর-আত্রাই আসনের সাংসদ আলহাজ মো. আনোয়ার হোসেন হেলাল, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ বেগম শাহিন মনোয়ারা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল ও বিভাষ মজুমদার গোপালসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
পরে সাংসদ মো. আনোয়ার হোসেন হেলালকে সভাপতি, আব্দুর রউফ দুলুকে সাধারণ সম্পাদক, ও জার্জিস মিঠুকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আংশিক কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার আহ্বান জানানো হয়।