চাকরির কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে তিনজন গ্রেপ্তার
নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেত্রকোনো মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরের অজহর রোড থেকে ওই তিন প্রতারককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার নেত্রকোনা মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন ঢাকার হাজারীবাগের রায়ের বাজার এলাকার মুহাম্মদ রেজাউল হক ওরফে টিটু (৪৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের গলধাপাড়া এলাকার মো. আবুল কালাম আজাদ (৪৯) ও নেত্রকোনা পৌরসভার কাটলী এলাকার আবু সায়েম (৩০)।
প্রতারণার মূল হোতা মুহাম্মদ রেজাউল হক টিটু ওরফে রেজা ভাণ্ডারী । তিনি কখনও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি, আবার কখনও এনএসআইয়ের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। আটকের পরে পরিচয় দিলেন তিনি বাউলশিল্পী এবং সিএনএন অনলাইনের সাংবাদিক। এসব পরিচয় দিয়ে তিনি শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাতজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এসব টাকা ব্র্যাক ব্যাংক, বিকাশ, রকেট ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় ও নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রলোভন দেখায় ওই তিন প্রতারক। পরে জেলার বিভিন্ন এলাকার সাতজনের কাছ থেকে ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় তারা। পরে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়োগপত্র এলে চাকরি প্রার্থীদের সন্দেহ হয়। গতকাল বিকেলে বাকি টাকা নেওয়ার জন্য নেত্রকোনায় এলে অজহর রোডে প্রতারকদের আটক করে এলাকাবাসী এবং টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। পরে প্রতারকরা দুই লাখ টাকা ফেরৎ দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সদর উপজেলার উলুয়াটী গ্রামের মো. নাজমুল হাসান খান বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে আজ প্রতারণার অভিযোগে নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়।
নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, চাকরি দেওয়া কথা বলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ওরা টাকা নিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।