চাকরি হারিয়ে সংসারে অভাব, স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার নিজবাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বিলচন্দক গ্রাম থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলি ইউনিয়নের বিলচন্দক গ্রামের মানিক মোল্লা (২২) ও তাঁর স্ত্রী লাইলী আক্তার (১৯)।
সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, ছয় মাস আগে মানিক ও লাইলীর বিয়ে হয়। লাইলীর বাবার বাড়ি চাঁদপুরে। তাঁরা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। কিছু দিন ধরে বাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর স্বামী-স্ত্রী তাঁদের ঘরে যান। এরপর অনেক সময় তাঁদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরে প্রবেশ করতে গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতর থেকে আটকানো। পরে ধাক্কাধাক্কি করে দরজা ভেঙে দেখা যায়, তাঁরা দুজনেই ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন। পরে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সহকারী পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ঠিক কী কারণে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালে পোশাক কারখানায় চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন মানিক ও তাঁর স্ত্রী লাইলী আক্তার। বাড়িতে আসার পর থেকে সংসারে প্রচণ্ড অভাব দেখা দেয়। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া ও কথা কাটাকাটি হতো মানিকের।
আজ দুপুরেও পারিবারিক বিষয় ও অভাব-অনটন নিয়ে মানিকের সঙ্গে তাঁর মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ক্ষোভে মায়ের ওপর অভিমান করে সবার অলক্ষে নিজেদের ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন মানিক ও তাঁর স্ত্রী লাইলী আক্তার।