চারজনকে হত্যায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড, কাঠগড়া ভাঙচুর
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান অধিকাংশ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পর পরই আসামিরা বিচারককে গালিগালাজ করে এবং কাঠগড়া ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে কঠোর নিরাপত্তায় কারাগারে নিয়ে যায়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজী ও হাসমত আলী। এ ছাড়া এই মামলার আসামি নাইনুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জালাল গাজী পলাতক রয়েছেন। বাকিরা সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্রাহাম লিংকন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু রায়ের পর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে একদল মুখোশধারী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর দুর্বৃত্তরা সুলতান মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী হাজেরা বেগম ও তাদের নাতনি রোমানা ও আনিকাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
পরের দিন সুলতান মিয়ার ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বরে নিহত পরিবারের স্বজন রফিক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এই রায়ে পরিবার সন্তুষ্ট। তাঁরা দ্রুত এ রায় কার্যকর চান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন বলেন, ‘অভিযোগপত্র দাখিলের দ্রুততম সময়ে এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর অপরাধীদের কাঠগড়া ভাঙচুরের মতো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধর্ষ।