চার জমজ সন্তানের জন্ম দিলেন আফসানা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে একসঙ্গে চার ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আফসানা খাতুন নূপুর। এ ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। দূরদুরান্ত থেকে নবজাতকদের দেখতে আসছে অনেকে।
আজ শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের একটি হাসপাতালে একসঙ্গে চার ছেলে সন্তানের জন্ম দেন আফসানা খাতুন নুপুর। তিনি জেলার বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের স্ত্রী।
নুপুরের চার ছেলে সন্তানকে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের বিশেষ পরিচর্যা ইউনিটে (স্ক্যানু) ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেলকুচি উপজেলার শাহাদত হোসেন একজন সরকারী চাকুরীজিবী। ৩০ বছর আগে বাবা ও ১০ বছর আগে মাকে হারিয়েছেন শাহাদত। চার বছর হলো বিয়ে করেন আফসানা খাতুন নুপুরকে। বিয়ের পর থেকে সন্তান নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে এই দম্পত্তি। অনেক চেষ্টার পর গর্ভবতী হন নুপুর
আগেই পরীক্ষা করে জানতে পারেন, একাধিক সন্তানের মা হতে চলেছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে আজ সকাল ১০টায় হাসপাতালে ভর্তি হন আফসানা খাতুন নুপুর। বেলা পৌনে ১১টায় জন্ম দেন চার ছেলে সন্তান।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, চার ছেলে ও মা সুস্থ আছেন। তবে, চার সন্তান একসঙ্গে জন্ম নেওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনাই ওজন কিছুটা কম হয়েছে। কিছুটা শ্বাসকষ্ট আর অপুষ্টির কারণে হাসপাতালের বিশেষ পরিচর্যা ইউনিটে (স্ক্যানু) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাদের।
চার শিশুর বাবা শাহাদত হোসেন বলেন, ‘একসঙ্গে চার সন্তানের বাবা হবো, আগে কখনও ভাবিনি। আগেই পরীক্ষা করে জানতে পারি একাধিক শিশু ছিল। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আজ একসঙ্গে চার সন্তানের বাবা হলাম, এটি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। সন্তানরা যেন ভালো থাকে—এজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
চার শিশুর চাচি নাজমা খাতুন বলেন, ‘চার বছর চলছে শাহাদত বিয়ে করেছে। বিয়ের পর পরই তারা সন্তান নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আল্লাহর কি নিয়ামত একসঙ্গে চার ছেলে সন্তান দিয়েছেন শাহাদতকে। পুরো পরিবার খুশি। অনেক ভালো লাগছে।’
চার শিশুর মা আফসানা খাতুন নুপুর বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে একসঙ্গে চার সন্তান দিয়েছেন। তারা যেন সুস্থ্য থাকে, ভালো থাকে—সবার কাছে এই দোয়া চাই। আমি ভিশন খুশি।’
সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামীমুল ইসলাম বলেন, ‘চার সন্তান একসঙ্গে জন্ম নেওয়ায় শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম হয়েছে। তাদের অপুষ্টি আর কিছুটা শ্বাসকষ্ট আছে। এ কারণে হাসপাতালের বিশেষ পরিচর্যা ইউনিটে (স্ক্যানু) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’