চার দফা দাবি জানিয়ে থামল সাত কলেজের বিক্ষোভ
নিউমার্কেটে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাত কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কর্মসূচি পুরোপুরি মাঠে গড়ায়নি। আজ বুধবার বৃষ্টি থামলেই রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করার কথা ছিল তাঁদের। যদিও সাত কলেজ আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল সম্রাটের দাবি—পুলিশ তাঁদের ব্যানার ও মাইক নিয়ে গেছে।
এর আগে সম্রাট জানান, চার দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। দফাগুলো হলো—হল-ক্যাম্পাস খোলা রেখে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রাখতে রাখা; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা; সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ডিসি হারুন ও ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ্যের অব্যাহতি।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল সম্রাট এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মানববন্ধন করতে এবং ক্ষোভ জানিয়ে চার দফা পেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, কিছু সময়ের জন্য কলেজের হলে গিয়ে নীলক্ষেতে ফিরে শুনি, সেখানে রাখা আমাদের ব্যানার ও মাইক পুলিশ নিয়ে গেছে। এরপর হ্যান্ড মাইকে আমরা আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করি।’
ইসমাইল বলেন, ‘সকালে কালবৈশাখী ও বৃষ্টির কারণে ক্ষুব্ধ অনেক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে আসতে পারেননি। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।’
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সোমবার রাত থেকে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি, দফায় দফায় সংঘর্ষ, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও পুলিশ আহতের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান হয়েছে দাবি করে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে ব্যবসায়ী ও পুলিশের ওপর চলে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
এর মধ্যে গতকাল রাতে আহত যুবক নাহিদের মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন কয়েক জন।
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল বলেছেন, সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট।
এরপর গতকাল রাতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।