চালের দাম আর কিছুতেই বাড়বে না : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার কাজ করছে। চালের দাম আর কিছুতেই বাড়বে না। সুতরাং যারা মজুতদারি করে পরে বেশি দামে বিক্রি করবেন বলে আশা করে আছেন, তাঁদের সেই আশা পূরণ হবে না।’
নওগাঁসহ সারা দেশে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী রাজধানীর খাদ্যভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে দেশের ৮টি বিভাগের ৮টি জেলার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি গুদামে ধান বিক্রির সময় কৃষকেরা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কৃষকেরা আমাদের ভাই, স্বজন। গুদামে ধান দিতে এসে তাঁরা কষ্ট পাক, এমন কোনো কাজ করা যাবে না। তবে ধান চালের মানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না। ভালোভাবে পরীক্ষা করেই ধান চাল কিনতে হবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানমের সভাপতিত্বে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এই অনলাইন সভায় অন্যদের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বক্তব্য দেন। নওগাঁ সদর উপজেলা এলএসডি গুদাম চত্বর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে নওগাঁয় চলতি বোরো মৌসুমে ধানের উৎপাদন ও সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এ সময় অন্যদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির, কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আব্দুল খালেক, নওগাঁ জেলা ধান চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদবরণ সাহা চন্দন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, বাংলাদেশ অটো রাইসমিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর রহমান বাবু, নওগাঁ সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কায়েস উদ্দিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, চালকল মালিক গ্রুপ, আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর কবির জানান, এ মওসুমে বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ হাজার ৩৪ টন। উপজেলাভিত্তিক বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে নওগাঁ সদর উপজেলায় দুই হাজার ৪৪৮ টন, আত্রাই উপজেলায় দুই হাজার ৫৫২ টন, রাণীনগর উপজেলায় দুই হাজার ৫৮০ টন, মহাদেবপুর উপজেলায় তিন হাজার ৯০০ টন, পত্নীতলা উপজেলায় দুই হাজার ৬৮৯ টন, ধামইরহাট উপজেলায় দুই হাজার ৫১৪ টন, বদলগাছি উপজেলায় এক হাজার ৬১২ টন, সাপাহার উপজেলায় ৮০৩ টন, পোরশা উপজেলায় এক হাজার ১২৫ টন, মান্দা উপজেলায় দুই হাজার ৭১৭ টন ও নিয়ামতপুর উপজেলায় তিন হাজার ৯৪ টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি বোরো মওসুমে জেলায় এক লাখ ৮৯ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। উল্লেখিত পরিমাণ জমি থেকে মোট ১২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪০ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।