চালের দাম বাড়ার শঙ্কা নেই : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সম্প্রীতি মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষে আরেকটা মৌসুমের শুরুতে চালের দাম একটু ওঠানামা করে। তা ছাড়া প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংগঠনের মেম্বার্স ডে’ ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি আমিন হেলালী, পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন খান ও যশোধা জীবন দেবনাথ এবং নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু প্রমুখ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনায় সফল সরকার।’ তিনি বলেন, ‘কৃষকদের আরও সহজভাবে সার সরবরাহ করতে ইতোমধ্যে একটি বাফার গোডাউন নির্মাণ ও একটি হিমাগার নির্মার্ণের অনুমোদন লাভ করেছে।’
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ভবনে মুজিব কর্নার ও ডিরেক্টর্স লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রীতি মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষ আরেকটা মৌসুম শুরু হলে এই দুই মৌসুমের মাঝখানে চালের দাম একটু ওঠানামা করে। ইতোমধ্যে আমন মৌসুম ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হচ্ছে। এ ছাড়া ওএমএস চলমান রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকারি গুদামে যে খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার দ্বিগুন আছে। প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই যোগ হবে নতুন আমনের ফলন। সব মিলিয়ে দেশে খাদ্য সংকটের কোন শঙ্কা নেই।’
পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ আলী দ্বীন, বেলকন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. বেলাল হোসেন এবং পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা কালিমি বাবু প্রমুখ।