চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে করোনা উপসর্গ নিয়ে নারীর মৃত্যু
বাগেরহাটের রামপালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না নাসিমা বেগমের (৫৫)। পথেই করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আজ বৃহস্পতিবার রামপাল থানা সংলগ্ন এলাকায় ভ্যানেই তিনি মারা যান।
মৃত নাসিমা বেগমের (৫৫) বাড়ি বাগেরহাটের মোংলার পশ্চিম শেহলাবুনিয়ার বাতেন সড়কে।
জানা গেছে, আজ সকালে নাসিমাকে নিয়ে তাঁর স্বামী মো. মহারাজ খলিফা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যান। সেখান থেকে ফেরার পথে রামপাল থানার কাছে ভ্যানেই তিনি মারা যান।
মহারাজ খলিফা জানান, ১৫ দিন ধরে তাঁর স্ত্রী জ্বরে ভুগছিলেন। দু-তিন দিন আগে তাঁকে শেহলাবুনিয়ার সেন্ট পলস হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে দেখান। তাতেও সুস্থ না হওয়ায় আজ সকাল ৯টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে পাশের উপজেলা রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে ফেরার পথে ভ্যানেই তাঁর স্ত্রী মারা যান।
মহারাজ খলিফা আরও জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর খবর শুনে রাস্তার সব লোকজন দ্রুত সরে যায়। এরপর নদী পার হয়ে পেড়িখালী এলে সেখানেও সবাই চলে যায়। কেউ তাঁর স্ত্রীর লাশ বহন করতে রাজি হয়নি। প্রায় তিন ঘণ্টা খেয়াঘাটে লাশ নিয়ে বসে থাকেন তিনি। পরে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবীর হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে লাশ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। কোনো গাড়িচালক লাশ বহনে রাজি না হওয়ায় বিকেল ৩টার দিকে ট্রলারে করে নদী পথে রামপাল থেকে মহারাজ খলিফা তার স্ত্রীর লাশ নিয়ে মোংলার উদ্দেশে রওনা হন।
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কবীর হোসেন বলেন, ‘এভাবে কারো মৃত্যুই কাম্য নয়, অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে তিনি মারা গেছেন। তাঁর করোনার উপসর্গ ছিল। তবে করোনায় মারা গেছেন কি না, তা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।’