চীনকে সাড়ে ১০ কোটি টিকার অর্ডার দেওয়া হয়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভর্তুকি হারে চীন থেকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে সাড়ে সাড়ে ১০ কোটি ডোজা টিকা কিনছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই এসব টিকার অর্ডার চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীতে আমাদের টিকার কোনো সংকট হবে না। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও সাত-আট কোটি লোককে টিকার আওতায় আনতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, চীন থেকে আমরা মোট সাড়ে ১০ কোটি ডোজ টিকা আমরা কিনছি। এতে সিনোফার্মের তিন কোটি এবং সিনোভ্যাকের সাড়ে সাত কোটি। এ ছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা বিনামূল্যে দেবে। আমরা যেভাবে অর্ডার নিশ্চিত করেছি ও প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, তাতে আগামী জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা আরো সাত থেকে আট কোটি লোককে টিকা দিতে পারব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা দিলে মৃত্যুর হার কমে আসবে। যদিও এখন সংক্রমণ কমে আসছে। ৩২ শতাংশ থেকে বর্তমানে সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। মৃত্যুর হার পৌনে তিনশ থেকে ১২০-এ নেমে এসেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিচ্ছি। শিল্পকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার দাবি ছিল। আমরা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ও বিদেশে চাকরি নিয়ে যারা যাচ্ছেন, তাদেরও দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে বেশি আক্রান্ত হচ্ছিল বলে টিকা গ্রামে নিয়ে যাই। গ্রামে আমরা ব্যাপক সাড়াও পেয়েছি। মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। টিকার সরবরাহ বেশি পরিমাণে এলে আবার গ্রামে দেওয়া হবে। বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে থাকে। কাজেই গ্রামকেও আমাদের সুরক্ষিত করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আর গণটিকা কার্যক্রম করছি না। কারণ, গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার মতো সেই পরিমাণ টিকা সরকারের হাতে নেই। আগামীতে গণটিকা কথাটাই থাকবে না আর। লম্বা লম্বা লাইন যাতে না হয়, হুড়াহুড়ি করে টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। টিকা যে পরিমাণ হাতে থাকবে সেভাবে টিকা দেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় ডোজ টিকার সময়সীমা ১৫ দিন করার চিন্তা করছে সরকার। এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।’