চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুবক খুন
নেত্রকোনা কৃষি খামার থেকে উদ্ধার করা মৃত আমিনুল ইসলাম (২৪) রেস্টুরেন্ট কর্মচারী। পুলিশের ধারণা চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তিনি খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে সদর মডেল থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের একটি টিম তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতের কোনো এক সময় আমিরুল ইসলামকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। তাঁকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে সোহাগ মিয়া (২৬) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ।
নিহত আমিরুল ইসলাম শহরের কুরপাড় এলাকায় মামা উজ্জ্বল মিয়ার বাসায় থাকতেন এবং পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে খান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ছিলেন। আটক হওয়া সোহাগ মিয়াও একই এলাকার বাসিন্দা রইছ উদ্দিনের ছেলে।
ওসি জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও পিবিআইয়ের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর কৃষি খামার এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যায় জড়িত সন্দেহে শহরে অভিযান চালিয়ে সোহাগ মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে ধারণা করা হচ্ছে, চুরির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন যুবক সোহাগ মিয়া এবং হত্যার শিকার আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে।
এদিকে, আমিরুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান ওসি।