চেষ্টা করব গ্রাহকেরা যেন টাকা ফেরত পান : অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী
ইভ্যালি পরিচালনার নিয়ম পর্যালোচনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বোর্ড পরিচালনার বিষয়ে মাত্র জানতে পেরেছি। এখনও সম্মানিত অপর সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়নি। সবার সঙ্গে বসে আমরা বিষয়টি ঠিক করব। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যেসব গ্রাহকেরা টাকা লগ্নি করেছেন, চেষ্টা করব তাঁরা যেন তাদের টাকা ফেরত পান।’
হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড গঠনের পর এনটিভি অনলাইনকে এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতি।
এর আগে আজ দুপুরে ইভ্যালির প্রস্তাবিত অবসায়ন এবং পরিচালনার নিয়ম পর্যালোচনা করতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
বোর্ডের অপর সদস্যেরা হলেন—সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, মাহমুদুল কবির, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ ও আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর ইভ্যালির বিষয়ে ওঠা প্রতারণার অভিযোগ ও পরিচালনার নিয়ম পর্যালোচনা করতে চার সদস্যের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একজন সাবেক বিচারপতি, সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সমন্বয়ে এ বোর্ড গঠন করা হবে বলে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১১ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সব নথি হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক আদেশে ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী নথি দাখিল করা হয়।