চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সভাপতি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, বিভিন্ন ভাতা প্রদানে নিজেদের লোক দিয়ে তালিকাকরণ, নাগরিক সেবা পেতে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
আজ সোমবার রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য দেবব্রত অধিকারী দেবু।
অভিযোগে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান (এলজিএসপি) প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম, বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজস্ব লোকজন দিয়ে তালিকা তৈরি করে উৎকোচ গ্রহণ করে আসছেন। বিভিন্ন ভাতা অস্বচ্ছলদের পরিবর্তে স্বচ্ছলদের দেওয়া, নাগরিক সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে চরমভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এর আগে ইউনিয়নের সচিব রেবেকা সুলতানাকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে ০৫.৫৫.৮৫০০.০১১.০৫.০২৭.২২.১৫৮ স্মারকে বদলির আদেশ দিয়ে উজ্জ্বল কুমার অধিকারীকে যোগদানের আদেশ দেয়। রেবেকা সুলতানা উপজেলার ১২নং মিঠিপুর ইউনিয়নে গত ৬ মার্চ তারিখে যোগদান করেন। অন্যদিকে উজ্জ্বল কুমার অধিকারীকে অফিসের চাবি ও দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে পূর্বের সচিব এর সিল স্বাক্ষর জাল করে চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ১৪ ও ১৯ মার্চ তারিখে অনেক জন্ম নিবন্ধন প্রদান করেন। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা হয়, যার নং সি আর ১৫৭/২০২২ ইং। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়া আগেও তালিকা থেকে নাম কর্তন করে স্বচ্ছলদের নাম যোগ করেন। বিগত ৩১/০৫/২০২২ ইং তারিখে ভিজিডির ১১ বস্তা চাল চাল ব্যবসায়ী দুলা মিয়ার কাছে বিক্রি করলে জনগণ হাতেনাতে আটক করলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে তারা চেয়ারম্যান আমিনুলের ক্ষমতাকে ভয় পেয়ে কোন প্রতিকার বা মামলা করেননি। চেয়ারম্যান আমিনুলের বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আকারে অবহিত করার পরেও কোন প্রকার তদন্ত পর্যন্ত করা হয়নি। মেলেনি কোন প্রতিকার।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা। একটি চক্র আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই এসব চক্রান্ত করছে।