ছবি তোলায় সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন পরাজিত জাপা প্রার্থী
নীলফামারীর জলঢাকায় হামলার ছবি তুলতে গিয়ে রাশেদুজ্জামান সুমন নামে এক সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মাথায় আঘাত করায় মাথা ফেটে যায় ওই সাংবাদিকের।
প্রাথমিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে তিনি রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। আহত সুমন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মানবকণ্ঠের জলঢাকা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
রাশেদুজ্জামান সুমন অভিযোগ করেন, বিকেলে ডিমলা সড়কে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে অতর্কিতভাবে উপজেলা জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইদার রহমান বুলুর উপর হামলা চালান পরাজিত প্রার্থী দুলাল হোসেন। এ সময় আমি ছবি তুলতে গেলে আমার ওপরও হামলা চালায় দুলাল। এতে আমার মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে প্রথমে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং সেখান থেকে পরে রংপুরে স্থানান্তরিত করা হয় আমাদের।
ঘটনাস্থলে থাকা জলঢাকা পৌর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সম্প্রতি জলঢাকা উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জলঢাকা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত হন দুলাল হোসেন।
দুলাল হোসেন ক্ষেপে গিয়ে সাইদার রহমানের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেন। এ সময় ছবি তুলতে গেলে সাইদারের ছেলে সাংবাদিক সুমনের উপরও হামলা চালায় সে। আহত দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে দুলাল হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর ০১৯১৩৫১০৭৩৩ এ রিং দিয়েও রিসিভ না হওয়ায় কোন মন্তব্য জানা যায়নি।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি। বিষয়টি দেখছি আমি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব সাজ্জাদ পারভেজ বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা কোনোভাবে মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ বিষয়ে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।