ছাদভর্তি যাত্রী নিয়ে বরিশাল ছাড়ছে লঞ্চ
ঈদের পঞ্চম দিনেও বরিশাল থেকে রাতে ছাদভর্তি যাত্রী নিয়ে একের পর এক লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ শনিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভরে যায় লঞ্চের ডেক, কেবিন, এমনকি ছাদও। ফলে লঞ্চ ছাড়ার আড়াই ঘণ্টা আগেই বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করতে বাধ্য করেন সেখানে উপস্থিত থাকা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যেরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ শনিবার বিকেল থেকেই বরিশাল নদী বন্দরে উপচে পড়া ভিড় ছিল। লঞ্চের ডেক তো যাত্রী পরিপূর্ণ ছিলই, কেবিনগুলোর সামনে হাটার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। সব লঞ্চের ছাদে যাত্রীদের গাদাগাদি অবস্থায় দেখা গেছে। বিশেষ করে প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চের ছাদে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় সরাসরি রুটের মোট ১৩টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। পারাবাত-৯, পারাবাত-১০, পারাবাত-১২, কুয়াকাটা-২, সুন্দরবন-১০, সুন্দরবন-১১, সুরভী-৮, মানামী, প্রিন্স আওলাদ-১০, সুরভী-৭, এডভেঞ্চার-১, কীর্তনখোলা-১০ ও কীর্তনখোলা-২ যাত্রী নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নদী বন্দরে কাজ করেছেন। কোনো লঞ্চ যাতে ঝুকিপূর্ণভাবে যাত্রী পরিবহণ না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।’