ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে পোশাককর্মী খুন
গাজীপুরে ছেলে হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মারধরে এক পোশাককর্মী নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম আসাদুল ইসলাম (৫২)। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসাদুল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাঁচউলিপুর এলাকার মৃত গোলাম উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, গাজীপুর সদরের বাহাদুরপুর তুলসীভিটা এলাকায় সপরিবারে ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন আসাদুল। গত ৩ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে তুরাগ নদে মাছ ধরার কথা বলে তাঁর ছেলে নয়নকে (১২) বাড়ি থেকে ডেকে নেয় আঙ্গুটিয়াচালা এলাকায় নয়নদের প্রতিবেশী সেজু (২৪), আনন্দ (২২), বাবলু (৪০) ও শাহীনসহ (২০) কয়েক যুবক।
নয়নের সঙ্গে থাকা এসব যুবকরা জানান, নৌকা থেকে নদে পড়ে নিখোঁজ হয় নয়ন। পরে এদিন সন্ধ্যায় নদী থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আসাদুল ওই যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, নয়নকে নৌকা থেকে নদীতে ফেলে খুন করা হয়েছে।
নয়ন নিহত হওয়ার বিষয়ে সুজন মাহমুদ ও আলমগীর হোসেন সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে সালিশ বৈঠকের আয়োজন হয়।
এদিন আসাদুল ইসলামের প্রতিপক্ষের লোকজন উপস্থিত না থাকায় সালিশ অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে বুধবার বিকেল ৩টার দিকে সালিশের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ সালিশকে কেন্দ্র করে আসাদুলকে স্থানীয় আলমগীর তার বাড়ির উঠানে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে আলমগীর, মোজাম্মেল বেপারী, বাবু ও হবি বেপারীসহ তাদের লোকজনের সঙ্গে আসাদুলের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা আসাদুলকে মারধর করে। এতে আহত হয়ে আসাদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসাদুলকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ বায়োজিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের চোখের পাশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।