ছয়দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি শিশু নির্যাতন মামলার আসামি
ময়মনসিংহে শিশু গৃহপরিচারিকা তানিয়াকে (১১) নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ছয়দিনেও অভিযুক্ত নারীসহ তিন আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা মো. তমিজ উদ্দিন।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মামলায় এক নারীসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন গৃহকর্ত্রী আসমা আক্তার (৩৫) এবং তার সহযোগী লিটু (৪০) সোহাগ (৪৫)। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে মাসিক এক হাজার টাকা বেতনে আসমা আক্তার নামে এক নারীর বাসায় তানিয়াকে কাজ করতে দেন তার বাবা। আসমার বাসা ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া এলাকায়। লিটু ও সোহাগ নামে দুই ব্যক্তি তানিয়াকে কাজে দিতে সহায়তা করেন। কাজে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে শিশু তানিয়াকে অমানসিক নির্যাতন করতে থাকেন আসমা। একপর্যায়ে তানিয়ার শরীরে ব্লেড দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে নির্যাতন করা হয়। পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিরা শিশু তানিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাদের সহায়তায় তানিয়ার পরিবার তাকে ফুলবাড়ীয়া থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির শরীরে ব্লেড দিয়ে ক্ষত করে নির্যাতনের চিহ্ণ দেখে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার এবং ঘটনাস্থল সদর থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। পুলিশের সহায়তায় শিশুটির পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং শিশুর বাবা পরের দিন সদর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী আসমা আক্তারের বাড়ি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের পানেরভিটা গ্রামে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করেন এবং চরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে।