জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে পুলিশ : আইজিপি
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশ সক্ষমতা প্রমাণ করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আজ সোমবার (২২ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে ‘স্ট্রেনদেনিং ক্রাইম প্রিভেনশন ক্যাপাসিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্প পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তোমোহাইড ইচিগুচি।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশ সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থি এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশ দেশে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।”
জাপানকে অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, “জাইকা পরিচালিত এ প্রকল্পের মাধ্যমে আড়াই হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ‘ট্রেনিং অব ট্রেইনার্স (টিওটি)’ কোর্সও করানো হয়েছে। এর ফলে অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়বে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।”
আইজিপি বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হবে। তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে এই প্রকল্প। জাইকার আর্থিক সহায়তায় এ ধরনের কর্মসূচি এক নবযাত্রার সূচনা করেছে এবং আশা করি, ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মো. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পরিচালক (পুলিশ সুপার) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান, প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজধানীর মহাখালী আবদুল আজিজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা বেগম প্রমুখ বক্তব্য দেন।