জঙ্গিরা কিছু করার সাহস করবে বলে মনে করি না : ডিএমপি কমিশনার
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে দেশে জঙ্গিরা কোনো কিছু করার সাহস করবে না বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না জঙ্গিরা এ ধরনের (হামলা) কোনো কিছু করার সাহস তারা করবে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জঙ্গিদের এখন যেটা কাজ, সেটা হলো দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চেষ্টা করা। এ রকম একটি শহীদ দিবস, যেখানে হাজার হাজার মানুষ আসবেন এবং যেটা বাঙালির আবেগের জায়গা; সেখানে একটি ছোট ঘটনা ঘটাতে পারলেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবে। এটা তাদের একটি লক্ষ্য থাকে। কিন্তু আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা মনে করি না এ ধরনের কোনো কিছু করার সাহস তারা করবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস পালন করছি। চারদিকে কোভিডের যেমন ভীতি আছে, পাশাপাশি আমাদের ভ্যাকসিনেশন চলছে। আমরা প্রত্যাশা করব যে, অন্যবারের তুলনায় যারা আমাদের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে আসবেন, স্বল্প সংখ্যক আসবেন।’
‘শদীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজনকে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আর ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুজনকে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এর বেশি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে যেন কোনো প্রতিনিধি না আসে সেজন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আর বরাবরের মতো আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনারকেন্দ্রিক যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই নিরাপত্তা থাকবে।’ যোগ করেন শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করব। এখানে শ্রদ্ধা জানাতে যে মানুষগুলো ঢুকবেন, আমরা যতটা সম্ভব তাদের দেহ তল্লাশি করে ঢুকতে দেব। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য আমাদের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে। কোনদিক দিয়ে মানুষ আসবে, কোনদিক দিয়ে বের হবে সেগুলো সব আগের মতোই আছে।’
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একদম পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, মাস্ক ছাড়া একজন ব্যক্তিকেও শহীদ মিনাদের দিকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সবাইকে মাস্ক পরে আসার জন্য আমরা অনুরোধ করব। আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এখনে মূলত তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এর পাশাপাশি বাইরে র্যাবের সদস্যরাও কাজ করবেন। পুরো এলাকার প্রতিটা ইঞ্চি জায়গা কিন্তু সিসি ক্যামেরার অধীনে থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, সোয়াত এবং জঙ্গিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের যে সাইবার টিম কাজ করে সেগুলো যথারীতি কাজ করবে।’