জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘জঙ্গি দমনে আমরা আর তৃপ্তিতে ভুগি না। কারণ, এখনও জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। জঙ্গিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভিটিসহ সব বিষয়ে আমরা মনিটরিং করি।’
হলি আর্টিজানে হামলার সময় জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযানে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে শুক্রবার শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন সময় এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট-সিটিসিসহ বিভিন্ন মেট্রো ও জেলা পুলিশে সিটিসির মতো একটি করে ছোট ইউনিট করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে হারকাতুল জিহাদের মধ্যে দিয়ে জেএমবির উত্থান হয়। পরে ইরাকে যখন আইএসের উৎপাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বাংলাদেশের কিছু মানুষ হামিমের নেতৃত্বে হলি আর্টিসানে হামলা করে।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে নতুন একটি ইউনিট খোলে। এই ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। এ ছাড়া ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে অস্ত্র এবং প্রটেকশনের কথা বলা হয়।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে এই রিকোয়ারমেন্ট পাওয়ার পর থেকেই আপনারা লক্ষ্য করেছেন, চট্টগ্রামের মৌলভীবাজার ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের অনেক জায়গায় জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। সেই সময়কার জঙ্গিদের আস্তানা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।’
শফিকুল বলেন, ‘হলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরে যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম, তাহলে আজ যে পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রোরেল দেখছি, তার কোনও কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। কারণ, কোনও বিদেশি টেকনিশিয়ান-ইঞ্জিনিয়ার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসতেন না।’
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার পিটার হাস বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন।