জঙ্গি হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই : ডিএমপি কমিশনার
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।’
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার গোলাম ফারুক এ কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পর এখন পর্যন্ত জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু ওই দুইজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। আমাদের টিম তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।’
শহীদ মিনারে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা নিরাপত্তার জন্য পলাশী থেকে শুরু করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সমগ্র এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছি। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারিতে রাখা হবে। আমাদের আর্চওয়ে থাকবে সেটা দিয়ে শহীদ মিনারে আসা মানুষকে সার্চ করা হবে। কোনও ব্যাগ কিংবা জিনিস নিয়ে আসবেন না, আমরা এগুলো নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেব না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং কূটনীতিকরা শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং দোয়েল চত্বর হয়ে চলে যাবেন। অর্থাৎ একদিক দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যাবেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘করোনা পরবর্তীসময়ে উন্মুক্ত পরিবেশে এবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে আসবেন। রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষ শহীদ মিনারে আসবেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে।’
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘তিন ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২০ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা, ২১ তারিখ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত কাজ করবে নিরাপত্তা বাহিনী।’