জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কঠিন : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার ও সিটি করপোরেশনগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করছে৷ তবে, জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সবাই মিলে একসঙ্গে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
রাজধানীর মহাখালীতে আজ বৃহস্পতিবার ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এসি, ছাদ বাগান, নতুন স্থাপনা বা কোথাও যেন পানি না জমে, এ বিষয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে পারি।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ এখন ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য তৈরি রয়েছে। এক হাজার শয্যার মধ্যে ছয়জন কোডিভ রোগী আলাদাভাবে সেবা নিচ্ছে। এ হাসপাতালে ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে এবং আরও প্রায় ৪০০ শয্যা ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গুর পরিস্থিতি এ সময় আগের তুলনার বেশি। এ বছর আগের তুলনায় আবহাওয়ার ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি হচ্ছে, যা বেদনাদায়ক। অন্য বছরে এ সময়ে ডেঙ্গু তুলনামূলক এতো বেশি থাকে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের মেয়রগণসহ মন্ত্রণালয় নিয়মিত তদারকি করছেন। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ-বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতার জন্য টিভিসি প্রদর্শন করা হচ্ছে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে করোনা রোগী এবং ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা জোনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা আছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসুন।’