জনগণ বিবর্জিত রাজনীতিকদের প্ল্যাটফর্ম ১২ দল : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি ১২ দলের জোট করেও এগুতে পারবে না মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১২ দলীয় জোটের সম্মিলিত শক্তি আমাদের একটা থানা কিংবা ঢাকা শহরের একটা ওয়ার্ডের শক্তির চেয়েও কম। সুতরাং এগুলো আসলে জনগণ বিবর্জিত রাজনীতিকদের প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
সচিবালয়ে আজ বৃহস্পতিবার তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম করার জন্যই ২০ দলীয় জোট করেছিল। তারা দেখতে পেল যে, ২০ দলীয় জোটের গাড়ি মোটেও আগায়নি। এখন ২০ দল ভেঙে ১২ দল করলে আরও এগুবে না, পিছিয়ে যাবে। যে ১২ দলের কথা বলা হচ্ছে তার অনেকগুলো দল অনভিজ্ঞ এবং এই ১২ দলীয় জোটের সম্মিলিত শক্তি আমাদের একটা থানা কিংবা ঢাকা শহরের একটা ওয়ার্ডের শক্তির চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে কম। সুতরাং এগুলো আসলে জনগণ বিবর্জিত রাজনীতিকদের প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
‘কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত’কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কূটনীতিকদের কথা বলা থেকে বিরত থাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাসের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিদেশি কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। রাশিয়ার দূতাবাস থেকে যে বিবৃতিটা দেওয়া হয়েছে সেখানে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। কিছু দেশ যখন কোনো সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা করে তখন তারা সংশ্লিষ্ট দেশে মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। অথচ দেখা যায় যারা মানবাধিকারের কথা বলে, সে সমস্ত দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়। একইসাথে কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়গুলো যা একেবারেই অভ্যন্তরীণ, সে সব বিষয়েও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা- সেটিও বিবৃতিতে উঠে এসেছে। আমি মনে করি, যারা ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে নানা ধরনের কথাবার্তা বলছিলেন, এই বিবৃতি তাদের বোধোদয় হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমাদের বাজেট প্রণয়নের জন্য অর্থমন্ত্রীকে প্যারিস কনসোর্টিয়ামের মিটিংয়ে ছুটে যেতে হতো। বাজেটের বেশির ভাগ অংশ আসতো অনুদান ও ঋণ থেকে। এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। আমাদের বাজেটের বেশির ভাগ, প্রায় ৯০ শতাংশ আমরা নিজেরা যোগান দেই। অনেক ক্ষেত্রে আমরা বৈদেশিক ঋণ নেই না, প্রত্যাখান করি। আমরা এখন কারো মুখাপেক্ষী দেশ না। বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে। আমি মনে করি যখন কোনো বিদেশি কূটনীতিক আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন, সেটি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অনেক ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের মতো দাঁড়ায়। তবে এই ক্ষেত্রে আমি তাদেরকেই দোষ দেবো যারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে ছুটে যায় এবং তাদের পদলেহন করে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে, তারাই প্রকৃত দোষী।’