জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করব : হিরো আলম
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে জেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া নির্বাচন কার্যালয় থেকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মাহমুদ হাসানের কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন হিরো আলম। এসময় জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পরে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন ও অভিনয় জগৎ দুটি আলাদা। আমরা যখন অভিনয় করি, তখন অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আর যখন জনসেবা করি তখন জনসেবা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। অভিনেতা হিসেবে জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করব।’
হিরো আলম বলেন, ‘আমি জনগণকে নিয়ে কাজ করি, সবসময় জনগণের পাশে থাকতে চাই। একারণে জনগণ আমাকে ভোট দিবেন।’
তবে, দুই আসন থেকে ফরম সংগ্রহ করলেও কোন আসনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন তা পরে জানাবেন বলে জানিয়েছেন হিরো আলম।।
বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মো. সিরাজ ও বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন স্পিকারের কাছে পদত্যাগ করেন। ফলে আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ১ ফেব্রুয়ারি ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি। আর ৮ জানুয়ারি মনোনয়ন পত্র বাছাই ও ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনেও আলোচিত হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ মার্কা) হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ৬৩৮ ভোট পান। এতে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তবে, ভোটের মাঝমাঠে গিয়ে অবশ্য তিনি নির্বাচন বর্জন করেন।
ঐদিন বগুড়ার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে ভোট বর্জনের ঘোষণার সময় হিরো আলম বলেন, ‘সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের লোকজন ভোটারদের বের করে দিয়েছে। নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। কেন্দ্রদখল আর হামলার ভোট আমি মানি না। ভোট বর্জন করলাম।’
২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানির পর তা বাতিল করে।
মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
পরে গত ১৫ ডিসেম্বর বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের হাতে পছন্দের 'সিংহ' প্রতীক তুলে দেন।
এর আগে জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম।
উল্লেখ্য, বগুড়া -৬ (সদরে) আ.লীগের প্রার্থী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু ও বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের শরীক জাসদ ইনুর রেজাউল করিম তানসেন ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।