জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ। আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল তিন শতাংশ। আর এখন মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগে দেশের খর্বকায় মানুষ জন্ম নিত ৬০ শতাংশ। কিন্তু, এখন সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ায় মাত্র ২৫ শতাংশের নিচে খর্বকায় মানুষ জন্ম নেয়।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই স্বাস্থ্যখাতে প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘আগে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর, আর এখন ৭৩ বছর। দেশে আগে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছিল না। এখন ২২টি ইনস্টিটিউট রয়েছে, যা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
টিকাদানে সরকারের সফলতার তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে টিকাদানে ৯৮ শতাংশ সফলতা এসেছে, অথচ আগে ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৫০ জনের বেশি, আর এখন সেটি মাত্র ২৩ জন। আগে দেশে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করতো। এখন সেটি ৭৩ শতাংশ হয়েছে।’
দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘মাতৃত্বকালীন সেবার মান বাড়াতে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। দেশের প্রায় চার হাজার ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০টি কেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের জন্য আট ঘণ্টার পরিবর্তে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ে দেশের সব হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান ব্যবস্থা চালু করা হবে।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, রোগী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী সংসদে এটি পাশ হলেই আইনটি কার্যকর হবে।’
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি ডা. বর্দন জং রানা বক্তব্য রাখেন।