জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে রাজধানী ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ছাত্রলীগ।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এরপর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁরা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এ দুটি নাম এক ও অবিচ্ছেদ্য। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির অবদানের পাশাপাশি তাঁর জন্মের তিথিও চিরজাগরূক থাকবে বাঙালির প্রাণের স্পন্দনে। তিনি ধ্রুবতারার মতো আমাদের শক্তি ও সাহসের উৎস হয়ে থাকবেন।’
ছাত্রলীগের সভাপতি আরো বলেন, ‘জাতির পিতার শুভ জন্মদিনের এই শুভক্ষণে বলতে চাই, মুজিববর্ষ এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভক্ষণে জাতির পিতার স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কাজ করে যাব। মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার, বাংলাদেশ থেকে সব অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা। জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতার শুভ জন্মদিনে সমগ্র জাতির সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞচিত্তে তাঁকে স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধু এক আদর্শের নাম। যে আদর্শের মৃত্যু নেই, তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যত দিন বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতি থাকবে, তত দিন মুজিব আদর্শে শাণিত থাকবে বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চিরপ্রবহমান থাকবে।’
লেখক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মুজিব আদর্শের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে যাবে।’
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। কালক্রমে তাঁর হাত ধরেই বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। বেঁচে থাকলে এই দিনে বঙ্গবন্ধু ১০১ বছরে পদার্পণ করতেন। আর ঠিক নয় দিন পরই ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ দুই বিশেষ উপলক্ষ ঘিরে আজ বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় পর্যায়ে ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা, যা শেষ হবে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে। জাতীয় প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে ১০ দিনের এই অনুষ্ঠানমালার পাঁচ দিনের আয়োজনে যোগ দেবেন প্রতিবেশী পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান।
দিনটি উপলক্ষে বুধবার সারা দেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।