জমির অভাবে খেলার মাঠ করা যাচ্ছে না : তাপস
জমির অভাবই পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার দুপুরে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ‘বাসাবো সবুজ বলয়’-এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন মেয়র তাপস।
তাপস বলেন, ‘প্রতি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি খেলার মাঠ ও উদ্যান প্রতিষ্ঠা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু, আপনারা জানেন, খেলার মাঠ-উদ্যান প্রতিষ্ঠা ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো জমির অভাব।’
সবুজ বলয়ের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমরা এই বলয়কে কেন্দ্র করে ফিফার মানদণ্ড অনুযায়ী যেমন ফুটবল খেলা ও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের আলাদা ব্যবস্থা রেখেছি, তেমনি এখানে দর্শকদের জন্য বসার জায়গা রাখা হয়েছে এবং ক্রিকেটের জন্য নেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে এসে শিশুরা যেন খেলতে পারে ও অন্য খেলার সঙ্গে তাদের যেন সংঘর্ষ না হয়, সেই ব্যবস্থাও আমরা আলাদাভাবে রেখেছি।’
নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেই খেলার মাঠ ও উদ্যান প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আজ যে মাঠে আমরা সবুজ বলয়ের উদ্বোধন করলাম, সেই জমিটি দখল করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে। কিন্তু, এই এলাকার সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ও আমাদের কাউন্সিলরসহ সবার দৃঢ়তার জন্যই এই জমিটা রক্ষা করতে পেরেছি বলেই আজ আমরা এ প্রকল্পে হাত দিতে পেরেছি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একটি ওয়ার্ড আছে, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে খেলাধুলার জন্য এক চিলতে জমিও নেই। আমরা সেখানে একটি জমি চিহ্নিত করেছি। ইনশাআল্লাহ সেই জমিটা আমরা দখলমুক্ত করব। সেখানে অবৈধভাবে ট্রাকস্ট্যান্ড করে রাখা হয়েছে। তা দখলমুক্ত করে আমরা সেখানেও খেলার মাঠ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
এর আগে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস পাঁচতলা বিশিষ্ট মেরাদিয়া কাঁচাবাজার ও বিপণিবিতানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, বাসাবো বৌদ্ধমন্দির হতে কালিমন্দির পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণে চলমান কাজ এবং পরে রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ‘শহীদ শামসুন্নেসা আরজু মনি একাডেমিক ভবন’ উদ্বোধন করেন। একইসঙ্গে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলে চলমান খননকাজ পরিদর্শন করেন।
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও কাজী বোরহান উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।