জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
নওগাঁ শহরে জোরপূর্বক জমি দখল করে পুকুর খননের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. আনোয়ার হোসেন। আজ সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় জেলা প্রেসক্লাবে এক লিখিত বক্তব্যে এই অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী জমির মালিক মো. আনোয়ার হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, শহরের কোমাইগাড়ি দেওয়ানপাড়া মহল্লায় পুকুর খননের এই প্রচেষ্টা চলছে। কোমাইগাড়ি মৌজায় অবস্থিত তার জমির খতিয়ান নম্বর ২১৯০, জেএল নম্বর ১২২, দাগ নম্বর ১০২৭ ও ১০২৯ । দেওয়ানপাড়ায় তিনি তাঁর শ্বশুর আব্দুস সালামের কাছ থেকে ২০০৬ সালে ৮ শতক জমি ক্রয় করে ৬ শতকের উপর বাড়ি নির্মাণ করেন। অবশিষ্ট ২ শতক জমির উপর টয়লেটের হাউজ, একটি বড় জলপাই গাছ, একটি বড় রেন্ট্রি কড়ই গাছ, একটি আমগাছ, একটি বেল গাছ, দুটি পেয়ারা গাছ, একটি মাল্টা গাছ এবং কিছু সুপারি গাছ রয়েছে। ওই জমির পাশে একই গ্রামের মো. মিজানুর রহমান মিজান, মনোয়ার হোসেন, মো. মিনহাজ হোসেন এবং ফরহাদ হোসেন একটি পুকুর খনন করার উদ্যোগ নেন। পুকুর খনন করতে তারা আনোয়ার হোসেনকে ওই দুই শতক জমি ছেড়ে দিতে বলেন এবং তাঁকে জমির বিনিময়ে পুকুরের অংশীদার হিসেবে থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় গত ১৭ মার্চ তাঁরা ভেকু মেশিন দিয়ে জোরপূর্বক তাঁর জমি খনন এবং গাছপালা কেটে ফেলতে শুরু করেন। বাধা দিলে তাঁরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তাঁর স্ত্রী দেওয়ান সেলিনা ইয়াসমিন সদর থানায় ওই দিনই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধসহ আইনগত সহযোগিতা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। থানা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ১৯ মার্চ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ করেন তিনি। সেখানেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে ২১ মার্চ নওগাঁর ১ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত ডিবি পুলিশকে মামলাটির তদন্তভার দেন। কয়েকদিন কাজ বন্ধ রাখার পর ২৬ মার্চ তাঁরা পুনরায় পুকুর খননকাজ শুরু করেছেন। নিজস্ব জমি হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাঁর সম্পত্তি রক্ষা করতে পারছেন না। এ ব্যপারে আনোয়ার হোসেন পুলিশ প্রশাসনসহ সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না। শেষ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি তাঁর সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়সাল বিন আহসান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা হওয়ায় এখন বিষয়টি পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ারে চলে গেছে। এখানে এখন পুলিশের কিছু করার নেই।