জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্যে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান জমা দিয়েছে, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা ২০২২-২০৪১ খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নেওয়া সব কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এ পর্যন্ত তিন হাজার ৩৬২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকার পরও বর্তমান সরকার দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং মানবসৃষ্ট পরিবেশদূষণ মোকাবিলায় দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে, তরল বর্জ্য নির্গত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরল বর্জ্য শোধন ব্যবস্থা স্থাপন করতে এবং শূন্য নিষ্কাশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করছে।’
মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বনায়ন ও বন সংরক্ষণ, অবক্ষয়িত বন পুনরুদ্ধার এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের গাছপালা ঢাকা ভূমির আয়তন ২২ দশমিক ৩৭ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির আয়তন ১৪ দশমিক শূন্য এক শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকার গাছ লাগানোর গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাছের চারা বিতরণ করা হচ্ছে।’
শাহাব উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের দেশকে সবুজ রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে সবুজ প্রবৃদ্ধিকে জনপ্রিয় করার পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এতে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শরিয়ার আলম এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন।