জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি পূরণনীতির আলোকে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সিকা শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান। আগামী মাসে মিসরের শার্ম-আল-শেখে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের আগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটছে, জ্বালানি ঘাটতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা কঠিন হয়ে পড়ছে বলে ড. মোমেন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন—এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি সব পক্ষকে সংযত থাকার এবং বিরোধের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান।
শান্তির সংস্কৃতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী নিরস্ত্রীকরণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান পুনরায় তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনসহ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সিকা নেতাদের সমর্থন কামনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের দ্রুততম সময়ে মধ্যে নিরাপদ, টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিকা-এর ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সদস্য দেশগুলোকে অভিনন্দন জানান এবং সিকার আওতায় গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে বাংলাদেশের সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
সম্মেলনে সিকা তহবিল, তথ্য প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার এবং জাতিসংঘ গৃহীত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কৌশল বাস্তবায়নে আস্থাবৃদ্ধিমূলক কর্ম-পরিকল্পনা গৃহীত হয়। এছাড়াও ‘আস্তানা স্টেটমেন্ট অফ ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক ঘোষণায় সিকাকে ফোরাম থেকে এশিয়া অঞ্চলের একটি আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক সংগঠনে উন্নীতকরণের প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে নেতারা ঐকমত্য পোষণ করেন।
মোমেন সম্মেলনের ফাঁকে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রাশিদ আল-যায়ানি, কাজাকস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখতার তেলেঊবারদি ও কিরগিজস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে।