জাজিরা-শিমুলিয়া রুটে ফেরিঘাট চালুর দাবিতে ‘গণ-অনশন’
শরীয়তপুরের জাজিরা ও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চালুর দাবিতে মঙ্গল মাঝি-সাত্তার মাদবর ঘাটে চলছে গণ-অনশন। নির্মিত ফেরিঘাটের পন্টুনের সামনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার স্থানীয় মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
‘পদ্মা সেতু রক্ষা কমিটি’ নামের একটি সংগঠন আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে এই অনশন করছে। সংগঠনের বক্তারা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে।
গণ-অনশনকারীরা বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জাজিরা শিমুলিয়া নৌরুট চালু হলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝিরঘাট শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করতে হবে। প্রায় একমাস হল জাজিরা প্রান্তে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ফেরিঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচলের কথা ছিল এবং ২৭ আগস্ট শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিক ফেরি চলাচলের কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারণে এই ফেরি চলাচল এখনও শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২১ জেলার মানুষের দিন দিন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
বক্তারা বলেন, মৃতদেহ পর্যন্ত এই অঞ্চলে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকাতেই সেগুলো সৎকার দাফনের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া অথবা চাঁদপুর-শরীয়তপুর ব্যবহার করতে হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। যার ফলে অনেক রোগী এই পথে মারা যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত সময়ের মধ্যে সব অজুহাত বন্ধ করে ফেরি সেবা চালু করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৮ আগস্ট থেকে শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি সময়ে আবারও পদ্মা সেতুর স্প্যানে আঘাত হানে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর। এ নিয়ে পাঁচবার ফেরি আঘাত করল পদ্মা সেতুতে। সেই বিড়ম্বনা এড়াতেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্স লাশবাহী গাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ ছোট যানবাহন চলাচলের জন্য সাত্তার মাদবর-মঙ্গল মাঝি ফেরিঘাট স্থাপন করেন। কিন্তু নাব্যতা সংকট দেখিয়ে এরপর থেকে আর ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। কবে নাগাদ এই ফেরি চলাচল শুরু হবে সে বিষয়ে বিআইডব্লিটিএ বা বিআইডব্লিউটিসি নিশ্চিত করতে পারেনি।